দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রবাসী আনোয়ার মাহমুদের বাগান থেকে ডাব লুটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৌরভ হোসেন শাহেদ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দিন ফিরোজ।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ঘটনার সময় বাধা দিলে প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার ও মেয়েদের ওপরে হামলার চেষ্টা করা হয়।এতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে রক্ষা করে। বাড়ির ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ঘটনার ভিডিও রয়েছে দাবি করেন ভূক্তভোগী তাসলিমা।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শাহেদ ও ফিরোজ ইউপি সদস্য হওয়ায় ফের একই ঘটনার আশঙ্কা করে দুই মেয়ে নিয়ে তাসলিমা আতঙ্কে রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনা জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টুমচর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে ওই দুই মেম্বার দলবল নিয়ে ঢুকে ঘটনাটি ঘটায়। পরে একইদিন রাতে বাড়ির দরজায় ইউপি সদস্যদের লোকজন ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী।
অভিযুক্ত শাহেদ সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ফিরোজ একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার বলেন, আমাদের জমি এখনো ভাগবাটোয়ারা হয়নি। ইউপি সদস্য শাহেদ ও ফিরোজ দাবি করছে তারা বাগান ইজারা নিয়েছে। তারা ভুয়া একটি কাগজ নিয়ে এসে আমাদের বাগান দখল করতে চায়। এতে ঘটনার দিন ৭০-৮০ জন লোক নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে। পরে বাগান থেকে ডাব পেড়ে নিয়ে যায়।
এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমি ও আমার দুই মেয়েকে মারধরের চেষ্টা করে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করে। পরে রাতে ফের তারা বাড়ির সামনে ককটেল ফাটিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইউপি সদস্য সৌরভ হোসেন শাহেদ ও আফতাব উদ্দিন ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, তারা তাসলিমার ভাসুর বেলাল মাহমুদের কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য জমিটি বর্গা নিয়েছে। এজন্যই ওই বাগান থেকে ডাব কাটা হয়। তাদের সঙ্গে কয়েকজন ছিল। তবে কেউই বহিরাগত বা ভাড়াটে লোক নয়।
ককটেল ফাটানোর ঘটনাটিও তাসলিমাদের সাজানো। বাগান ইজারা নেওয়ার বিষয়টি তাসলিমাদের জানাতে তারা থানায় একটি আবেদন করেছেন। কিন্তু তিনি থানায় যাননি।
শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি তাসলিমা আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছে। পরে আমি ইউপি সদস্য সাহেদ ও ফিরোজের সঙ্গে কথা বলেছি। দুই পক্ষকে নিয়ে বসতে বললেও তাসলিমা আসেনি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post