দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই অভিযোগে দেশটির ফার্স্ট লেডি, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এই আদেশটি দেশটির অন্যান্য সিনিয়র নেতাদেরও ক্ষতির মুখে ফেলবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি। এই অবৈধ কার্যকলাপগুলো ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থ পাচারে জড়িত বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে এবং একইসঙ্গে অবদানও রাখে। যা জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে মানুষ ও সম্প্রদায়গুলোকে আরও দরিদ্র করে তোলে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সুশীল সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করা এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যা মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ করেছে এবং সরকারী নেতারাসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। এই শোষণ ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিসহ অন্যদের জবাবদিহি করার প্রচেষ্টায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের সরকারের মুখপাত্র নিক মানাগাগওয়া এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।
মূলত তাদের দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেয়া প্রেসিডেন্ট মনাঙ্গাগওয়া অতীতে দেশের উন্নয়নকে পঙ্গু করার জন্য অর্থনৈতিক শুল্ককে দায়ী করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post