হৃদরোগীদের জন্য আশার আলো দেখা দিয়েছে। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম হৃদরোগীদের স্টেন্ট নিয়ে আলোচনা সভা করেন।
সচিবালয়ে হৃদরোগীদের স্টেন্ট নিয়ে আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমরা স্টেন্টের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনা খতিয়ে দেখেছি। রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে স্টেন্টের বর্তমান দামই বহাল থাকবে।” এই সিদ্ধান্ত হৃদরোগীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি।
হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হৃদরোগীদের স্টেন্ট নিয়ে বৈঠকের পর সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ওষুধের দাম নিয়ে আমরা পুরোপুরি আলোচনা করতে পারিনি, সময়ের স্বল্পতা ছিল। তবে স্টেন্টের দাম নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে এ খাতের অংশীজনরা ছিলেন। আমরা বলেছি যে স্টেন্টের দামের বিষয়ে সরকার যেমন জনগণের স্বার্থ দেখছে, তেমনই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখবে।
সচিব বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আইনগতভাবে ব্যবসা করবেন, আবার যারা স্টেন্ট ব্যবহার করছেন। তাদের ওপর যাতে বাড়তি কোনো চাপ না পড়ে, অস্বাভাবিক দামে যাতে কিনতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’
বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে এ দুটো পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে আমেরিকা থেকে আসা স্টেন্টের ব্যবহার ৭৫ শতাংশ। বাকিটা আসে ইউরোপ থেকে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউরোপের পণ্যের ডিস্ট্রিবিউটাররা আজকের বৈঠকে অংশ নেননি। তবে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলবো। স্টেন্টের দাম আগে যেটা ছিল, সেটাই আমরা রেখেছি। আর লাভ করতে গেলে একটা মার্কার প্রাইস দিতে হয়। তাদের প্রশাসনিক খরচ, ভ্যাট ও ট্যাক্স মিলিয়ে একটা মার্কার প্রাইস ১ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা আছে।
স্বাস্থ্যসেবা সচিব আরও বলেন, ‘আমদানি মূল্যের সঙ্গে একটা যুক্ত করা আছে। কাজেই স্টেন্টের দাম আগে যেটা ছিল, সেটাই থাকবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দাম নির্ধারণ হয়েছিল। আমি মনে করি, এতে সরবরাহকারী ও ভোক্তা দুই পক্ষই লাভবান হবে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post