জজ্জান প্রদেশে হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানা গেছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রদেশটির সেবারগান সিটির একটি স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে দণ্ডটি কার্যকর হয়। তখন সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনটি আদালতের রায় এবং ইসলামিক আমিরাতের প্রধান নেতার সম্মতিক্রমে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
জাজ্জান প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান সাইফুদ্দিন মুতাসিম বলেছেন, “তার মামলাটি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে। সব তথ্য প্রমাণিত হওয়া, তিনটি আদালতের রায়ের পর এবং ইসলামিক আমিরাতের প্রধান নেতার ডিক্রির পর সবকিছু জানান দিয়েছে, এই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া উচিত।”
দণ্ড কার্যকরের সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়া তাওয়াকাল নামের এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজকে বলেছেন, “আমরা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়া স্থানীয় কর্মকর্তারাও ছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির দণ্ড তখন কার্যকর করা হয়।”
দাদুল্লাত নামের অপর এক ব্যক্তি বলেছেন, “তিনটি আদালতই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ কারণে ইসলামিক আমিরাত এই দণ্ড কার্যকর করেছে। যে ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছিলেন; তার পরিবারকে সরকারি কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তারা কি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিতে চান কি না। কিন্তু তারা ক্ষমা করেননি।”
আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তালেবান দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোট পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট ও তাদের মিত্র দেশগুলোর সেনারা পালিয়ে যাওয়ার পর; ওই বছরের ১৫ আগস্ট পুনরায় ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর তারা দেশটিতে আবারও প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ফিরিয়ে আনে।
এর আগে গত ২২ ফেব্রয়ারি গজনি প্রদেশে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা দুইজনও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post