মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভুয়া ভিসায় গত দেড় বছরে অবৈধভাবে আড়াই শ’ মানুষকে মধ্যপ্রাচ্য এবং সেনজেনভুক্ত বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে একটি চক্র। চক্রটির দুই হোতাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কয়েকজনও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আছেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এর পূর্ব পাশে অবৈধভাবে জাল ভিসা ব্যবহার করে বিদেশে পাঠানোর পাঁয়তারা করছিলেন কয়েকজন। বিষয়টি টের পেয়ে এপিবিএনের সদস্যরা তাদের নজরদারিতে রেখে ডিবি পুলিশকে খবর দেন।
পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই হোতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ কবির হোসেনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি পাসপোর্ট ও জাল ভিসা, বিমানবন্দরে প্রবেশের স্পেশাল কার্ড, ৩টি ই-টিকেট, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সংশ্লিষ্ট ৫/৬ পাতা জাল ডকুমেন্ট এবং নগদ ১৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, দালাল চক্রের সদস্যরা এখন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশ বিমানের সিকিউরিটি ম্যান, কুয়েত এয়ারওয়েজের বুকিং সহকারী, কিছু জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্সি মিলে শক্তিশালী একটি চক্র গড়ে উঠেছে, তারা টুরিস্ট ভিসার কথা বলে সেনজেন ভিসাভুক্ত দেশে কোনো রকম পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপর পৌঁছে গেলে আর ফেরত আসতে হবে না এই বলে কারো কারো কাছ থেকে ১৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
চক্রটির কাজ হচ্ছে, বিমানবন্দরে কোনো রকমে ঢুকিয়ে দেওয়া। ইমিগ্রেশনেও চেক করা হয় না। বিদেশগামী ভুক্তভোগীরা কিছু না বুঝে ভুয়া বোর্ডিং কার্ড নিয়ে বিমানে উঠে চলে যায়।
এই কাজে যারা জড়িত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। তারা বলেছে, এয়ারলাইন্সের সিনিয়র কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার, সুপারভাইজাররা জড়িত থাকতে পারে। তাদের সম্পর্কে আমরা খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এ অপকর্মের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আশ্বাস দেন ডিবি প্রধান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post