এবার একটি যুগান্তকারী বিকাশের মাধ্যমে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চীনা গবেষকরা (Chinese Researchers)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, তাঁরা স্টার্লিং ইঞ্জিন দ্বারা চালিত একটি অভিনব হাই-পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (HPM) অস্ত্রের প্রবর্তন করেছেন।
যা ডাইরেক্ট-এনার্জি যুদ্ধে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে চিহ্নিত করেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (SCMP)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই উদ্ভাবন তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে চারটি কমপ্যাক্ট স্টার্লিং ইঞ্জিন ব্যবহার করার মাধ্যমে শক্তিশালী HPM তরঙ্গ চালনা করে। যা ড্রোন, সামরিক বিমান এবং উপগ্রহগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য যে, এই HPM অস্ত্রের সুপারকন্ডাক্টিং কয়েল চার টেসলা পর্যন্ত একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। যা বিদ্যমান প্রযুক্তির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। SCMP-র মতে, এই সিস্টেমটি চার ঘণ্টার জন্য একটানা কাজ করতে পারে এবং পূর্ববর্তী পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় শক্তির মাত্র একের পাঁচ অংশ খরচ করে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই ওয়েপন সিস্টেমের বিকাশ আমেরিকা দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৈরি হয়। ওই নিষেধাজ্ঞায় ২০১৮ সালে চিনে উন্নত সুপারকন্ডাক্টিং উপকরণ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞা স্থানীয় সরবরাহকারীদের চাহিদা বৃদ্ধি করে। যা এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দিকে এই অস্ত্রের বিকাশে পরিচালিত করে।
ডাইরেক্টেড-এনার্জি অস্ত্র সহ লেজার এবং HPM অস্ত্রগুলিকে অ্যান্টি-ড্রোন এবং অ্যান্টি-স্যাটেলাইট যুদ্ধের ভবিষ্যত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে, HPM কম দক্ষতা এবং সীমিত পরিসরের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলি এই সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেছে। যার ফলে এই অস্ত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আরও কার্যকর করে তোলা হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, চিনা বিজ্ঞানীরা HPM অস্ত্রের জন্য একটি কমপ্যাক্ট পাওয়ার সোর্স তৈরি করেছেন। পাশাপাশি, উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের আকার হ্রাস করে এবং বিভিন্ন টার্গেটের সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স অক্ষম করার জন্য সেগুলিকে যথেষ্ট শক্তিশালী করা হয়েছে। ইলেক্ট্রন অ্যাক্সিলারেটর হিসাবে বর্ণিত এই ডিভাইসটিতে একটি উদ্ভাবনী ডিজাইন রয়েছে। যা যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষ নিরোধক এবং রক্ষণাবেক্ষণ-মুক্ত অর্থাৎ মেন্টেনেন্স ফ্রি অপারেশন উপলব্ধ করে।
এই অগ্রগতিগুলি থেকে বোঝা যায় যে, HPM অস্ত্রগুলি ভবিষ্যতের আর্বান ওয়ারফেয়ার (Urban Warfare) পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে তাইওয়ানের সাথে চিনের বিরোধের আবহে এই বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী এইভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post