কাতারের রাজধানী দোহা থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের মধ্যে বিরতিহীন উড়োজাহাজটির পরিচালনায় ছিলেন চারজন পাইলট এবং ১৫জন কেবিনক্রু। চলার পথে কেবিনক্রুদের পরিবেশন করতে হয়েছিল ১,১০০ কাপ চা-কফি, ২,০০০ গ্লাস কোমল পানীয় এবং ১,০৩৬ প্যাকেট খাবার।
কাতার এয়ারওয়েজের এই ফ্লাইটটি পৃথিবীর দীর্ঘতম বাণিজ্যিক ফ্লাইট হিসেবে ইতোমধ্যে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। দোহা থেকে অকল্যান্ড যেতে বোয়িং ৭৭৭-২০০এলআর উড়োজাহাজটিকে ১৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিটে পাড়ি দিতে হয়েছে ১৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ।
কাতার এয়ারওয়েজের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড পর্যন্ত যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করেছে যা এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
বিমান সংস্থাটির এক টুইটার বার্তায় বলা হয় কিউআর৯২০ ফ্লাইটটি “আনুষ্ঠানিকভাবে অকল্যান্ডে নেমেছে।” আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী জলকামান দিয়ে উড়োজাহাজটিকে ধুয়ে দিয়ে উদ্বোধনী ফ্লাইটটিকে স্বাগত জানানো হয়।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই গ্রিনিচ মান সময় রবিবার ১৮২৫ এ ফ্লাইটটি নিউজিল্যান্ডে অবতরণ করে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে নয়টি টাইম জোন পার হতে হয়েছে বিমানটিকে।
নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী টড ম্যাকক্লে বলেন, দেশটির অর্থনীতিতে এই নতুন সার্ভিস ব্যাপক অবদান রাখবে।
গত মার্চে আমিরাতের দুবাই-অকল্যান্ড বিরতিহীন বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিকে পৃথিবীর দীর্ঘতম হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। এটি ১৪,২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকোর ভেতর সরাসরি ফ্লাইটটিকে পৃথিবীর দীর্ঘতম হিসেবে ধরা হত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post