অপার সম্ভাবনার দেশ ইতালি। এই ধারণাটি অনেক বাংলাদেশির মনে গেঁথে আছে। পশ্চিম ইউরোপের এই শিল্পোন্নত দেশে উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই ইতালিতে কর্মসংস্থান ও বসবাসের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু বাস্তবতা কি স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
দেশটিতে যাওয়া নতুন প্রবাসীদের মধ্যে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন কেউ কেউ। জি-সেভেনভুক্ত শিল্প সমৃদ্ধ দেশ ইতালিতে প্রতি বছর প্রবেশ করছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশটিতে দ্রুত অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন ও স্থায়ীভাবে বসবাসই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি শ্রমবাজার। বর্তমানে ইতালিতে প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। পর্যটন খাত, জাহাজ নির্মাণ শিল্প এবং কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের রয়েছে বিশাল সাফল্য। তবে ভাষা জটিলতা এবং দক্ষতার অভাবে শুরুতেই কাজ পাননা অনেকে। এতে বাড়ছে দুশ্চিন্তা আর হতাশা।
মূলত অর্থনৈতিক সাফল্যের আশায় ইতালিতে প্রবেশ করা নতুন প্রবাসীদের প্রথমেই পড়তে হয় ভাষাগত সমস্যায়। রয়েছে কাজের দক্ষতার অভাবও। তাই প্রথম ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত প্রস্তুত করতে নিজেকে। এছাড়া বৈধ কাগজপত্র হাতে পাওয়া এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়ে পরিবার থেকে অর্থের জন্য চাপ না দেয়া এবং চিন্ত থাকার পরামর্শ অভিজ্ঞ প্রবাসীদের।
ইতালির ভিন্ন পরিবেশে অর্থনৈতিক সাফল্য পেতে লাগে সময়। প্রথমে ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মদক্ষ হয়ে ওঠা প্রতিটি প্রবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নতুন যারা ইতালিতে প্রবেশ করছেন, দ্রুত অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য হতাশ না হয়ে তাদের ধৈর্য ধরে কর্মদক্ষতা এবং ভাষাগত জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কমিউনিটি নেতারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post