বর্তমান বিশ্বে এখন মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে নিত্যনতুন খাবার তালিকায় ঢুকছে। এমনই একটি খাদ্য স্বাস্থ্যকর কি না, তা যাচাই করতে ১৭ দিন ধরে নিজের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। সেই খাবার হচ্ছে মুরগির কাঁচা মাংস।
জন নামের ওই ব্যক্তি বলেন, যত দিন পর্যন্ত তার পেটে ব্যথা না হবে, তত দিন তিনি এই খাবার চালিয়ে যাবেন বলে মনস্থির করেছেন। জন এই কাঁচা মাংস খাওয়ার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘কাঁচা মুরগির মাংসের পরীক্ষা’।গত ১৯ জানুয়ারি জন এই মাংস খাওয়া শুরু করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ‘কাঁচা মাংস খাওয়া ততটা ভয়ংকর নয়, যতটা আমরা মনে করি।’
জন দাবি করেন, কাঁচা মাংস খাওয়া শুরুর পর থেকে তিনি এখনো অসুস্থ হননি। তিনি বলেন, ‘যখন কেউ আমাকে কিছু করতে না করেন, তখন সেটা করতে আমি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠি। এবার হলো মুরগির কাঁচা মাংস।’
জন আরও বলেন, ‘আমি অসুস্থ হলে সেটা হয়তো পেট একটু খারাপ হবে এবং সামান্য পেটব্যথা হবে। তবে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ আমাকে এভাবে মাংস না খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁরা আমাকে বলেছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। কী হয়, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
জন এবারই প্রথম এমন কিছু করছেন, বিষয়টি তেমন নয়। এর আগেও তিনি প্রতিদিন কাঁচা মাংস খেয়েছেন। সেটা ভিডিও করে ইউটিউবেও ছেড়েছিলেন। তবে ২০০ দিন খাওয়ার পর অরুচি এসে গেলে তিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন।
অনেক চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ বলেন, জনের এ ধরনের পদক্ষেপ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এক চিকিৎসক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘এই ব্যক্তি যা করছেন, তা কেউ চেষ্টা করবেন না। এটি অত্যন্ত বোকামি।’
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ভাষ্য, কাঁচা মুরগির মাংসে সাধারণত সালমোনেলা, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর ও ক্লস্ট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেননসের মতো ব্যাকটেরিয়া থাকে। এগুলোর কারণে পেট খারাপ ও পেটব্যথা হতে পারে। এমনকি এসব ব্যাকটেরিয়া পেটের অন্যান্য খাবারকেও দূষিত করতে করে। তাই খাওয়ার উপযোগী করতে মাংসকে ভালোভাবে রান্না করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post