ডলারের দাম কমে যাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুনাফা কম হলেও ভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিমান বাংলাদেশের মুনাফা কম হয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে মন্ত্রণালয়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুষিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা তো ভাড়া বৃদ্ধি করব না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিমানের তো একটা সমস্যা। অ্যাভিয়েশনের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, অন্যান্য যারা আছে, তারা টাকা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে এরইমধ্যে আমরা চিঠি দিয়েছি। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালের সচিব। প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন। তারপরেও যে ডলার আমাদের আছে, তার মধ্য দিয়েই এটা ম্যানেজ করতে হবে।’
বিমানের মুনাফা কম হচ্ছে, তবে তারপরেও বিমান লাভে আছে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে বলে বিমান জানিয়েছে। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। এখন কেবল বাংলাদেশেই না, সারা পৃথিবীতে একই সমস্যা। মার্কিন ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সবাই সমস্যায় পড়েছে। আমাদের এটা ম্যানেজ করে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে লোকসানের অভিযোগ মাথায় নিয়ে চলতে হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। উড়োজাহাজ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুটও চালু হয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুধু যাত্রী পরিবহন করে আয় হয়েছে এক হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, আর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে ১৩২ কোটি টাকা। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাত্র ২৮ কোটি টাকা লাভ হয়েছে বিমানের।
বিমান বাংলাদেশ জানিয়েছে, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এক হাজার ৩৯৫ কোট টাকা এক্সচেঞ্জ রেটে লাভটা পেয়েও দেখানো যাচ্ছে না। এরপরেও বিমান লাভে আছে, বিমানকে কেউ ভর্তুকি দেয় না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post