বন্ধ করে দেওয়ার তিন মাস পরও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করেনি ওমান সরকার। সংশ্লিষ্টদের মতে, নিকট ভবিষ্যতেও এই ভিসা চালু হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। ফলে ওমানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো বন্ধ রয়েছে।
ভিসার অপব্যবহারের কারণে গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সব ধরণের ভিসা সুবিধা বন্ধ করে ওমান। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো -বিএমইটি সূত্র বলছে, কবে নাগাদ এই ভিসা চালু হতে পারে, তা একেবারেই অনিশ্চিত। এছাড়া ভিসা চালুর জন্য গত ডিসেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে ওমানে একটি খসড়া সমাঝোতা স্মারক পাঠানো হয়। তবে এ ব্যাপারে ওমান সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তৃতীয় শ্রমবাজার হিসেবে পরিচিত ওমানে গত বছর এক লাখ ২৭ হাজার ৮৮৩ জন কর্মী গেছেন, যা মূল শ্রমবাজারে যাওয়া কর্মীর ৯.৮০ শতাংশ। অভিবাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এই শ্রমবাজার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে এবং নতুন শ্রমবাজার খুলতে না পারলে জনশক্তি খাতে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে।
ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে কর্মীরা ওমানে আসেন। কিন্তু কাজ না পেয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। এক পর্যায়ে এসব কর্মী নানা ধরনের অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি ওমানি নাগরিকদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে। তারা বলছেন, ওমানে বাংলাদেশি সব কর্মীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার পরই বন্ধ হওয়া ভিসা চালু হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব গাজী মো. শাহেদ আনোয়ার বলেন, সমাঝোতা স্মারকের খসড়া পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওমান থেকে চূড়ান্ত কিছু পাওয়া যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সমাঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হলে কর্মীরা কবে যেতে পারবেন, সেটি ঠিক করা সম্ভব হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post