ভারতের জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত মামলায় নতুন মোড়। পাঁচজন নারীর করা মামলায় তাদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন দাবি করেছেন, পুরাতত্ত্ব বিভাগ বা এএসআইয়ের রিপোর্ট তাকে দেয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মসজিদের তলায় মন্দির আছে।
এএসআই আদালতের নির্দেশে যে সমীক্ষারকাজ করেছিল, সেখানে তারা ৩৪টি লিপি পেয়েছে। দেবনাগরী ও অন্য ভাষায় লেখা এই লিপিতে জনার্দন, রুদ্র ও উমেশ্বর দেবতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবীর দবি, এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন্দিরে ওই লিপি সম্বলিত পাথর ছিল। পরে মন্দিরের পাথরগুলি মসজিদ তৈরির কাজে লাগানো হয়। এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন্দিরের থাম একটু অদলবদল করে মসজিদে ব্যবহার করা হয়েছে। বারাণসীর জেলা বিচারকের কাছে এই রিপোর্ট জমা দেয় এএসআই। কিন্তু তিনি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, রিপোর্ট খুবই সংবেদনশীল। তাই এই রিপোর্ট নিয়ে কোনো ভুল তথ্য প্রচারিত হোক, তা তিনি চান না।
কিন্তু মামলাকারীদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানিয়েছেন, তিনি এই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে রিপোর্টের কিছু অংশ পড়েও শুনিয়েছেন। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের পর বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এই রিপোর্টে ভারতে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দিয়েছে। বিষ্ণু জৈন বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, এএসআই তাদের রিপোর্টে বলেছে, তরা মন্দিরের কাঠামো ও একটি কুয়ো পেয়েছে। প্রধান প্রবেশদ্বার ও সেন্ট্রাল চেম্বারে এই কাঠামো আছে।
বিষ্ণু জৈনের দাবি, এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারা সব থাম পরীক্ষা করেছে। সেগুলি সবই মন্দিরের ছিল। আর যে সব লিপি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ‘মহা মুক্তি মণ্ডপ’ কথাটি আছে। এএসআই গত ৪ অগাস্ট থেকে জ্ঞানবাপীতে সমীক্ষার কাজ করছিল। ওজুখানা বাদে সব জায়গায় তারা সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে তারা ওজুখানার সমীক্ষা করতে পারেনি। বিষ্ণু জৈনের দাবি, এবার তাদের ওজুখানার সমীক্ষার কাজ করতে দেয়া উচিত।
https://www.youtube.com/watch?v=dqkr00wt51c
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post