গাজায় দুটি ভবন ধ্বংস করতে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় ২১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তিন মাস ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন তাদের সেনাসদস্যেরা। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের
গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এবারই প্রথম এতো বেশি সংখ্যক সেনা হারালো। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় গত ২১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনার মৃত্যু দেখল ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে ২১ সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল, দক্ষিণ গাজায় পৃথক হামলায় তাদের আরও তিন সেনা নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা একটি ট্যাংকে রকেট চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং একই সময়ে দুটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ধ্বংস করার জন্য বিস্ফোরক স্থাপন করেছিল। বিস্ফোরণের জেরে ভবনগুলো সৈন্যদের ওপর ধসে পড়ে।
তিনি বলেন, আমরা এখনও ঘটনার বিবরণ এবং বিস্ফোরণের কারণগুলো বোঝার চেষ্টা করছি এবং তদন্ত করছি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলের গভীরে হামলা চালানোর পাশাপাশি বিমান, সমুদ্র এবং স্থলপথে বোমাবর্ষণ করে চলেছে। এছাড়া খান ইউনিনের একটি হাসপাতালে হামলা এবং চিকিৎসা কর্মীদের গ্রেপ্তারও করেছে ইসরায়েল।
অবশ্য হামলা শিকার হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও কথা বলা হয়নি এবং ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্রের অফিস থেকেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিদরা বলেন, খান ইউনিসে গত রোববার রাতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আর চিকিৎসা অবকাঠামো অবরোধের অর্থ হলো কয়েক ডজন মৃত ও আহত ব্যক্তিরা উদ্ধারকারীদের নাগালের বাইরে থেকে যান। এই পরিস্থিতিতে নিরপরাধ ফিলিস্তিনি ও চিকিৎসা কর্মীদের রক্ষা করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে ‘আমরা আশা করি তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তা করবে এবং হাসপাতাল, চিকিৎসা কর্মী এবং রোগীদের পাশাপাশি নিরপরাধ লোকদের রক্ষা করবে, যতটুকু সম্ভব’।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post