কাতারে বাংলাদেশের শ্রম বাজার ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: নজরুল ইসলাম অদ্য ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানির সাথে বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে কাতারের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশী কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন ৭ম জয়েন্ট কমিটি মিটিং ও দ্বি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারের মহামান্য আমীরের সম্ভাব্য পরবর্তী বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রমসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে এসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। রাষ্ট্রদূত কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতন ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি এ বিষয়ে যেকোন অভিযোগ তাৎক্ষণিক লেবার মিনিস্ট্রিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। কোন শ্রমিক তার বেতন না পেলে দেরি না করে এক মাসের ভিতরেই অভিযোগ দায়ের/ দূতাবাসকে অবগত করার করার পরামর্শ দেন। কারণ ৩/৪ মাস কোন কোম্পানি বেতন না দিলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ২/৩ মাসের অধিক বেতন না পেলে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত কাতারের বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ করার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি বলেন, কাতার শ্রম বাজার ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। তাই দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শ্রমিক আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং বলেন যে অদূর ভবিষ্যতে কাতার আর তেমন কোন অদক্ষ শ্রমিক আনবেনা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ে কেস চলাকালীন থাকা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূত তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া বলেন, ইতোমধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ওনলাইন লিংক করা হয়েছে, যাতে কোন শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট করা না হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইং-এর কাউন্সেলর জনাব মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও জনাব তনময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post