ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য রুপিতে লেনদেন আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রণয় ভার্মা এ কথা জানান।
রোববার (২১ জানুয়ারি) শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এসএমই খাতকে দু’দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একে অন্যের কাছ থেকে শিখতে পারি। আমরা রুপিতে বাণিজ্যের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তা আরও বাড়িয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভারত অন্যান্য দেশ থেকে যেসব দ্রব্য আমদানি করে, তার মধ্যে যেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনসহ (আইটিইসি) ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ছে।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকনোলজি খাতে এবং সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহের জন্য ভারতের সহযোগিতা নিতে পারি। বাংলাদেশের বিএসটিআই এবং বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সঙ্গে ভারতের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা দরকার।
সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সার কারখানাগুলোতে সার উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে সারের কোনো সংকট হবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post