নেট দুনিয়ায় অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ অনাহিতা হাশেমজাদেহ। নীল চোখ আর টোল পড়া গালের মিষ্টি হাসির এই মেয়েকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শিশু বলা হয়ে থাকে। তার ছবি কিংবা ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা মাত্রই যেন তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী অনাহিতার জন্ম ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি ইরানের ইস্পাহান শহরে। তার বাবা আলি হাশেমজাদেহ এবং মা মরিয়ম হাশেমজাদেহ। তার বর্তমান বয়স আট বছর হলেও তিন বছর বয়স থেকেই সে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
ওই সময় অনাহিতার মা মরিয়ম হাশেমজাদেহ অন্য দশজন মায়ের মতো তার মেয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছিলেন। কিন্তু তিনি ভাবেননি তার মেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যাবে। তিনি মাত্র কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও আপলোড করার পর পরই তা নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম অনাহিতার ফ্যান ফলোয়ার দ্রুত বাড়তে থাকে।
বর্তমানে অনাহিতার পরিচয় ইরানিয়ান শিশু শিল্পী, মডেল এবং সামাজিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে। ইনস্টাগ্রামে এই মিষ্টি মেয়ের অনুগামীর সংখ্যা যখন ৭০ হাজার, তখন তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ মুছে ফেলে ২০১৮ সালে পুনরায় নতুন একটি একাউন্ট তৈরি করা হয়। বর্তমানে তার অনুগামীর সংখ্যা এক মিলিয়নের বেশি। অনাহিতার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পুরোটাই দেখভাল করেন তার মা।
ইরানি এই শিশু ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের প্রচার, পেইড কন্টেন্ট, স্পনসরশিপ, মডেলিংয় এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে।
মিষ্টি হাসির এই মডেলের আকর্ষণীয় ৩টি দিক হলো। তার নীল চোখ, বাদামি চুল আর গালের টোল। এজন্য অনাহিতাকে অনেকেই বলিউডের প্রীতি জিনতার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। ২০২০ সালের এক হিসেবে দেখা গেছে ইরানি এই স্কুলছাত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post