নেদারল্যান্ডসের আর্নহেম শহরে পুলিশি প্রহরায় কোরআন অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অবমাননাকারীর সাথে প্রতিহতকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। (রোববার ১৪ জানুয়ারি) ডেইলি সাবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অবমাননা চেষ্টায় বাধা দিয়েছেন একদল লোক। তাদের সাথে পুলিশ বিবাদে জড়িয়েছে। দেশটিতে প্রাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ান অ্যাগাইনেস্ট ইসলাইজেশন অব দ্য ওয়েস্ট মুভমেন্টের (পিইজিআইডিএ) নেতা এডইউন ওয়াগেনসভেল্ড এ অবমাননার চেষ্টা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পিইজিআইডিএর কর্তৃপক্ষের কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধে একদল লোক প্রতিবাদ করেছে। তারা আর্নহেম মিনিউসিপাল থেকে এজন্য অনুমতি নিয়েছে। দলটি এতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে। ফলে এ বিক্ষোভ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশের তিন কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পিইজিআইডিএর ওই নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মরক্কোর বংশোদ্ভূত আর্নহেমের মেয়র আহমেদ মারকুচ বলেন, নেদারল্যান্ডসে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ নয়। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা মানুষকে প্রভাবিত করে। তবে সহিংসতা কোনোভাবে কাম্য নয়।
নেদারল্যান্ডসে কোনো সহিংসতার আশঙ্কা থাকলে মেয়রের বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আর্নহেমের ডেঙ্ক পার্টির একজন ডাচ-তুর্কি কাউন্সিল সদস্য ইলদিরিম উস্তা মেয়রের কোরআন অবমাননায় অনুমতি দেওয়ার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘৃণ্যকম কাজ।
উস্তা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশি আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি মিনিউসিপাল কাউন্সিলে ধরনের বিদ্বেষী অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। এর আগে একই ব্যক্তি গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির রাজধানী হেগে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে একই ব্যক্তি কোরআন অবমানননা করেছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post