চলমান অর্থনৈতিক সংকট গভীরতর হওয়ার সাথে সাথে খাদ্যপণ্যের দামও লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এক ডজন ডিমের দাম ৪০০ পাকিস্তানি রুপিতে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানে।
বাজারে গিয়ে দাম শুনেই ভিমরি খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। ফাঁকা ব্যাগ নিয়ে বাড়িতেই ফিরতে হচ্ছে আম আদমিকে।গত বছর দেড়েক ধরেই আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার মতোই কার্যত আর্থিক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে মহম্মদ জিনার স্বপ্নের দেশ।
একের পর এক দেশ ঘুরে বেড়িয়েও ভিক্ষার ঝুলি ভরতে পারেননি পাক শাসকরা। উল্টে আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে জ্বালানি তেলের দাম দিনের পর দিন বাড়িয়ে চলেছে প্রশাসন। আর তার কুপ্রভাব পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে।
পাকিস্তানের প্রধান সারির বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ’ রবিবার জানিয়েছে, শীত শুরু না হতেই লাহোরের বিভিন্ন বাজারে ডিমের দাম চড়তে শুরু করেছে। এদিন প্রতি ডজন ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকা। পেঁয়াজের দামের ঝাঁজে আম আদমির চোখে জল এসে যাচ্ছে। এক কিলো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ পাকিস্তানি রুপিতে। অথচ পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৭৫ রুপি বেঁধে দিয়েছে সরকার।
দামের চোটে মুরগির মাংসও খাওয়া ভুলতে বসেছে সাধারণ মানুষ। প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬১৫ পাকিস্তানি রুপিতে।গত মাসেই পাকিস্তানের ইকোনমি কো-অর্ডিনেশন কমিটি (ইসিসি) জাতীয় মূল্য নজরদারি সমিতিকে (ন্যাশনাল প্রাইজ মনিটরিং কমিটি) বাজারের উপরে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিল।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post