আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১৮ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে আরও প্রায় ১০ হাজার প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শনিবার সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার ৫৩৮ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার এবং ৯ হাজার ৯২৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। গত ৪ থেকে ১০ জানুয়ারি সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১ হাজার ৪৭ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ২৯৯ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ৩ হাজার ১৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৫৪ হাজার ৪৪৯ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৪৭ হাজার ৯৭৭ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৮৯২ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসপিএ বলছে, একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৬ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post