চার বছর বিরতির পর ২০২২ সালের আগস্টে শ্রমবাজার পুনরায় চালু করে মালয়েশিয়া। এখন সৌদি আরবের পর এটিই বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগদাতা দেশ। শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার পর থেকে দেশটিতে যাওয়া প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক বেকারত্ব ও শোষণের মুখে পড়েছেন।
বিএমইটির কর্মসংস্থান বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ ধরনের অভিযোগের হার আরও বেড়েছে। আগে প্রায় ৮৫ শতাংশ অভিযোগ আসত সৌদি আরব থেকে। কিন্তু এখন মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব দুই দেশ থেকেই সমানে অভিযোগ পাচ্ছেন তারা। গেলো সপ্তাহে কাজ না পাওয়া ২১ বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর দেশটির অভিবাসনের শীর্ষ কর্তাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই ২১ শ্রমিকের সবাই বৈধভাবেই মালয়েশিয়া অবস্থান করছিলেন।
অভিবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা নিয়োগকর্তা, দালাল ও নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচ্চ বেতনের চাকরির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং কর্মীদের ফাঁদে ফেলার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন। নিয়োগে সহায়ক সংস্থাগুলো বলছে, তাদের ভূমিকা বিদেশি নিয়োগদাতাদের চাহিদার ভিত্তিতে কর্মী বাছাই করে পাঠানো। যদি নিয়োগের চিঠি ভুয়া হয়, তাহলে তার জন্য মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা উচিত।
বিএমইটির ইমিগ্রেশন পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, এসব অভিযোগ নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় যেসব কোম্পানিতে বাংলাদেশিরা কাজ পাননি, তাদেরকে কালোতালিকাভুক্ত করেছে দেশটির সরকার। কর্মী নিয়োগে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post