ওমরায় পাঠানোর নামে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ১৮ জনের কাছ থেকে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আবু তালহা (৪২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে এজেন্সির নামে টাকা আদায়ের নকল রসিদ বই ও ওমরা হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের ৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আবু তালহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তালহা ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু তালহা বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। অধিক লাভের আশায় তিনি প্রায় ৫ বছর আগে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে নিজ এলাকায় আসেন। এরপর বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল লোকজনকে হজে পাঠানোর নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেন। তিনি ঢাকার আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস হজ এজেন্সির নামে নকল রসিদ তৈরি ও বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব নম্বর খোলেন। স্থানীয় দালালচক্রের মাধ্যমে হজ পালনে আগ্রহীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন।
তিনি ওই এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে ওমরায় পাঠানোর নামে ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের একজনকেও তিনি সৌদি আরবে ওমরা পালনের জন্য পাঠাতে পারেননি। ওমরা হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় ওই এজেন্সির নামে তৈরি করা নকল রসিদ ও ব্যাংক হিসাব নম্বর ব্যবহার করেছেন।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেইলি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের হাসেন আলী প্রামাণিকের ছেলে বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আবু তালহার বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে প্রতারণার শিকার ১৮ ব্যক্তির কাছে থেকে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারাণার মামলার আসামি আবু তালহা নকল রসিদ ও হিসাব নম্বরের মাধ্যমে হজে পাঠানোর নামে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post