পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মারসেলো রেবেলো দ্য সোজার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার লিসবনে পর্তুগিজ প্রেসিডেন্টের অফিস প্যালাসিও দ্যা বেলেমে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পরিচয়পত্র পেশ করেন রেজিনা।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা করে ’বাংলাদেশ ভবন’থেকে প্যালাসিও দ্যা বেলেমে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শুভেচ্ছা জানান।
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন প্রেসিডেন্ট মারসেলো রেবেলো দ্য সোজা।
তিনি পর্তুগালের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পর্তুগালে দায়িত্ব পালনের সময় রাষ্ট্রদূত রেজিনাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত রেজিনা পর্তুগালের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে ‘৫০০ বছরের’ ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য কাজ করার অঙ্গীকারের কথা জানান।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়েও পর্তুগালের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত রেজিনা। ঢাকায় পর্তুগালের দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময় এবং বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তিনি পর্তুগালের প্রেসিডেন্টকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশের সময় পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জোয়াও গোমেজক্রাভিনহো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো রিবেরো টেলেস, প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত মারিয়া অ্যামেলিয়া পাইভা, রাষ্ট্রাচার প্রধান জর্জ সিলভা লোপস, প্রেসিডেন্টের অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর লায়লা মুনতাজেরি দীনা এবং প্রথম সচিব মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post