অস্কার বিজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের জন্মদিন। আত্মা আলোড়নকারী সুর তৈরিতে অতুলনীয় প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় গানের একটি ‘কুন ফাইয়া কুন’। রণবীর কাপুর অভিনীত বলিউড সিনেমা ‘রকস্টার’-এর গান এটি। কবি ও গীতিকার ইরশাদ কামিলের লেখা এই গানে কণ্ঠ দেন জাভেদ আলী, এ আর রাহমান, মোহিত চৌহান ও নিজামি ব্রাদার্স।
সম্প্রতি মিউজিক পডকাস্টে গানটির রেকর্ডিং অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন গায়ক জাভেদ আলী। জানিয়েছেন, অন্যান্য গানের মতোই ‘কুন ফাইয়া কুন’ গাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কিন্তু গানটি যে একটি প্রার্থনা, তাঁকে সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন এ আর রহমান। তাই গান রেকর্ডিংয়ের আগে তাঁকে অজু করতে বলেন এ আর রাহমান, এরপর মাথায় টুপি পরে গানটি গান জাভেদ আলী।
সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে জাভেদ আলী বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি পাশেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ‘কুন ফায়াকুন’ গাইছিলাম আর রেকর্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ আর রহমান তখন আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি অজু করেছেন? অনুগ্রহ করে প্রথমে এটি করুন। আমিও আন্তরিকভাবে তা-ই করেছি। এমনকি অজু করার পর টুপিও পরতে হয়েছিল, তখনই গানটি আমরা রেকর্ড করি।’
গানটি রেকর্ডিংয়ের পুরো সময়ে স্টুডিও ছিল ‘ব্ল্যাকআউট’, অর্থাৎ অন্ধকার করে রাখা হয়েছিল। শুধু একটি মোমবাতি জ্বলছিল। জাভেদ বলেন, ‘পুরো স্টুডিও তখন অন্ধকার, আমাদের কাছে শুধু মোমবাতির আলো ছিল। ইরশাদ সাহেব (গীতিকার), এ আর রহমান স্যার ও আমি—তিনজন মিলে গানটি রেকর্ড করেছি। মনে হয়েছিল যে আমরা সবাই প্রার্থনা করছি এবং লোকেরা যখন গানটি শোনেন, তখনো এটি অনুভব করতে পারেন। এমনকি এখন যখন গানটি মঞ্চে পরিবেশন করি, তখনো আমি আমার মাথা ঢেকে রাখি।’
এ আর রহমানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে জাভেদ আলী বলেন, ‘তিনি শিল্পীদের অনেক স্বাধীনতা দেন। যদি কোনো গানে আমি যুক্ত থাকি, তিনি সত্যিই এটিকে সম্মান করেন। আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কৌশল শিখেছি। তাঁর আশপাশে একটা ঐশ্বরিক শক্তি আছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post