কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের আগে স্থানীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, রাজনৈতিক কর্মসূচি, দেশব্যাপী হরতাল এবং সহিংস সংঘর্ষের কারণে দেশটিতে ভ্রমণে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যেকোনো ধরনের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটি।
বিশেষ করে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে। যা নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাচনের কারণে যান চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকবে। এই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিলে এবং ভ্রমণ পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটলে ট্রাভেল এজেন্ট অথবা ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কানাডা আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন বিক্ষোভ চলছে। যেগুলো সামনে আরও হতে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকবে হবে। এসব আন্দোলন চলার সময় বিশেষ করে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়ক ও গুলশান এভিনিউর ৭৯ নম্বর সড়ক এড়িয়ে চলতে বলা হয় এ বার্তায়। এর আগে একই রকম নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।
তারা জানায়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে দূতাবাস বন্ধ থাকবে। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় দূতাবাসের সেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত হবে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন যদিও শান্তিপূর্ণ হবে বলেই আয়োজন করা হয়েছে, তবে তা সহিংস রূপও নিতে পারে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন বা পরের দিন বা সপ্তাহগুলোতে সামান্য বা কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।
নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। স্থানীয় ঘটনাসহ আপনার আশপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং কী ঘটছে সে বিষয়ে অবহিত থাকার জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে সবসময় চার্জ রাখা এবং যেকোনো জায়গায় চলাফেরার ক্ষেত্রে বিকল্প সবগুলো পথের খোঁজ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণ করেন। তাদের চলাচল ও ভ্রমণ বিধিনিষেধের অধীন। বিক্ষোভ ও নাগরিক অস্থিরতার সময় এই ভ্রমণ বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে।
সর্বশেষ নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্যের জন্য ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকদের নিয়মিতভাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই সতর্কবার্তায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post