দেশেগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের মত প্রকাশের সবচেয়ে বড় পদ্ধতি হলো ভোট। জনগণ চাইলে এই হাতিয়ার ব্যবহার করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাধারণত নাগরিকরা চাইলে ভোট দেন, আবার না চাইলে দেন না।
তবে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে ভোট দেওয়া আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর ভোট না দিলে রয়েছে শাস্তির বিধান। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পৃথিবীর ২১টি দেশে এ সংক্রান্ত আইনের কথা জানা যায়। যদিও এর প্রয়োগ হয় ১০ দেশে।
ইতিহাস বলছে, ভোটদান বাধ্যতামূলক করে আইন পাসকারী প্রথম দেশ বেলজিয়াম। ইউরোপের দেশটি ১৮৯৩ সালে পুরুষ এবং ১৯৪৮ সালে নারীদের জন্য এই বাধ্যতামূলক আইনটি পাস করে। ১৯২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের নাগরিকদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করে। পরবর্তীতে এই দুটি দেশের দেখানো পথে অনেক দেশই এই আইন করেছে।
আর্জেন্টিনা: ১৯১২ সালের প্রথম দিকে আর্জেন্টিনায় বাধ্যতামূলক ভোটদান আইন চালু হয়। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী সব নাগরিকের জন্য আর্জেন্টিনায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, ব্যর্থ হলে দিতে হয় জরিমানা।
অস্ট্রেলিয়া: ১৯২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইন করে। প্রথমবার ভোট দিতে ব্যর্থ হলে অস্ট্রেলিয়ান ২০ ডলার জরিমানা করা হয়। আর এরপর থেকে এই জরিমানা বেড়ে হয় ৫০ ডলার
বেলজিয়াম: ভোট না দিলে এই দেশে ৮০ ইউরো থেকে ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতো। আর কেউ যদি পর পর চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে ব্যর্থ হলে ১০ বছরের জন্য তার ভোটাধিকার বাতিল করা হয়।
ব্রাজিল: ১৯৩২ সালের সংবিধান অনুসারে ভোট না দিলে এই দেশে ন্যূনতম বেতনের ৩-১০% এর মধ্যে জরিমানা করার আইন রয়েছে। এছাড়া পাসপোর্ট বা আইডি পাওয়া, সরকারি চাকরি, সরকারি নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ হারানো ও সরকারি ঋণ পাওয়াও নিষিদ্ধ করার মতো শাস্তি রয়েছে।
ইকুয়েডর: ১৯৪৭ সাল থেকে পুরুষ ও ১৯৬৮ সালে উভয় লিঙ্গের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে। তবে ১৬-১৮ বছর বয়সী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয়। ভোট না দিলে দেশটির নাগরিকরা বহু নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরে ভোট দিতে ব্যর্থ হলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post