গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এবং তা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সব সময়ই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি—গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমি থাকবে। হামাস আর ভবিষ্যতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি থাকবে এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই চাই।’
এর আগে গাজা ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং উপত্যকায় নতুন ইসরায়েলি বসতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল মঙ্গলবার এ ধরনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি ওই দুই ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, তারা মনে করেন গাজা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ফেরত পাঠানো উচিত বলেও মনে করেন তারা।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর পর থেকেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৭ হাজার ৩৫ জন। ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২ মিলিয়ন বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post