আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন কাতার প্রবাসী সিআইপি জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, সুষ্ঠু সমাজ প্রতিষ্ঠা, তরুণ সমাজের সুন্দর মানস বিকাশে ও স্মার্ট ফরিদগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই তিনি নির্বাচন করছেন।
বাংলাদেশিদের মধ্যে একমাত্র কাতারি রেসিডেন্সধারী সিআইপি জালাল আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন কাতারে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে তিনবার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এ কৃতি সন্তান কাতারে স্থায়ী বসবাসের রেসিডেন্সি পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি। দেশটির সরকার জালাল আহমেদকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে।
জালাল আহমেদ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার মিয়াজি বাড়ীর হাজী আব্দুর রশিদ মিয়াজির বড় ছেলে। তিনি কাতারে গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানির কর্ণধার। জালাল আহমেদ পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। তার এক বোন মাজেদা বেগম বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। তিন মেয়ে আর এক ছেলের জনক জালাল আহমেদ সপরিবারে কাতারে থাকেন।
কঠোর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে কাতারে গড়ে তুলেছেন গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানি। নিজ জন্মস্থান চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মানুষকেও কাতারে এনে স্বাবলম্বী করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিশর, নেপালসহ অনেক দেশের শ্রমিক জালাল আহমেদের গোল্ডেন মার্বেল কোম্পানিতে কর্মরত।
কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে অতি পরিচিত মুখ জালাল আহমেদ। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ডাকেন। সফল এই ব্যবসায়ী সামাজিক সংগঠন কাতার বাংলাদেশ কমিউনিটি উপদেষ্টা, কাতার চাঁদপুর সমিতি ও কাতার ফরিদগঞ্জ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা। কাতার আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্বে আছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৩৪ বছরের কাতারের প্রবাস জীবনে সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত এ ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কাতারে তার মালিকানাধীন চারটি মার্বেল পাথরের কারখানা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের খুলনার মোংলায় তার একটি মার্বেল ফ্যাক্টরি রয়েছে।
পাশাপাশি এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে এতিমখানা, মসজিদ, মাদরাসা তৈরি করেছেন। অসহায় মানুষদের নিজস্ব অর্থায়নে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। অসচ্ছল মানুষদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। করোনার সময়ে ফরিদগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে সহযোগিতা করেছেন।
জালাল আহমেদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে চাঁদপুর-৪ জন্মস্থান ফরিদগঞ্জের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করতে চান। রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা না থাকলেও দেশে যখন ছুটিতে যান ফরিদগঞ্জের মানুষের ভালোবাসা আর অবহেলিত ফরিদগঞ্জবাসীর কথা চিন্তা করে রাজনীতিতে আসা তার। পাশাপাশি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে চান জালাল আহমেদ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post