সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্প সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেওয়া ভিশন ২০৩০-এর আওতায় বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটির চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এর পর গত পাঁচ বছরে সৌদির সিনেমাশিল্পে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে নতুন নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সিনেমা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার (জিসিএএম) তথ্য অনুযায়ী, সৌদির ২১টি বড় শহরে ৭টির বেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ৬৯টি সিনেমা হল চলছে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজারের বেশি।
এসব হলে বেশির ভাগ সময়েই চলে বিদেশি সিনেমা। তাই সৌদির চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে তরুণদের দক্ষ করে তুলতে স্থাপন করা হয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আয়োজন করা হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসব। এসব কার্যক্রম যুবসমাজকে চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।
এ বছর সৌদির বেশ কিছু সিনেমা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলী খালতামি পরিচালিত ‘মানদুব’, আবু বাকার সাকির ‘হাজ্জান’, মোহাম্মেদ কোরদোফানির ‘গুডবাই জুলিয়া’, আমজাদ আল রশিদের ‘ইনশা আল্লাহ আ বয়’, ফারাহ নাবুলসির ‘দ্য টিচার’ ইত্যাদি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post