মালয়েশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহতা আরও বেড়েছে। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে থাকা হাজার হাজার মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। এসব রাজ্যের ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
“দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ব্যক্তিগতভাবে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) কেলানতান সফর করবেন বলে জানা গেছে।”
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (নাদমা) দেয়া তথ্য অনুসারে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত দেশটির কেলান্তান রাজ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬ জনে, যার মধ্যে ৫ হাজার ৫১০টি পরিবার রয়েছে।
কেলান্তান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (জেপিবিএন) সচিবালয়ের মতে, রাজ্যের আটটি জেলা- পসির মাস, তানাহ মেরাহ, জেলি, গুয়া মুসাং, কুয়ালা ক্রাই, মাচাং, পাসির পুতেহ এবং কোটা ভারুর সব ক্ষতিগ্রস্তদের ৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তেরেঙ্গানুতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ১৯৯ জনকে সরিয়ে স্থানীয় ১২৫টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং পাহাংয়ে ৫৯০ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
তেরেঙ্গানু রাজ্যের ডুঙ্গুন এবং কেমামান জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও পাহাং রাজ্যের জেরানটুট, কুয়ানতান, পেকান ও রম্পিন এবং জহুর রাজ্যের সেগামাত, মার্সিং ও কোটা টিংগিতে টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জহুর রাজ্যের কাম্পুং ওরাং আসলির পেটা, মার্সিংয়ে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৫টি পরিবারের ৮৩ জন বন্যাকবলিত হয়েছে।
এছাড়া সেলাঙ্গর রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের এখনও কুয়ালালামপুর জেলার ত্রাণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সাবাহে ১৬৯ জন ক্ষতিগ্রস্তকে তিনটি এবং জোহরে ৮৩ জনকে একটি ত্রাণকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
নাদমা আরও জানিয়েছেন, পাহাংয়ের নয়টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ক্যামেরন হাইল্যান্ডসে ভূমিধসের ঘটনায় বাস্তুচ্যুত ১৭টি পরিবারের ৮৭ জন ক্ষতিগ্রস্তকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি রাজ্যেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা বাড়ছে।
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে মালয়েশিয়ার স্থানীয় ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post