ওমানে মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে জন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডাঃ মোহাম্মদ আল হোসনি বলেন, রোগটি পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত সূচকগুলি দেখায় যে, ওমানে করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। তিনি লোকজনকে ভাইরাসটিকে হালকা ভাবে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
সোমবার ওনের জাতীয় একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে আল হোসনি বলেন, “এ জাতীয় সূচকগুলি দ্বিতীয় ধাপ শুরুর দিকে ইঙ্গিত দেয়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ৪৭৬ জন এবং মৃত্যু ১০ জন। নতুন আইসিইউ তে ভর্তি ১০ জন সহ সর্বমোট আইসিইউতে রয়েছে ১৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন।
ডাঃ আল হোসনি বলেন, আমরা ধারনা করেছিলাম ওমানে করোনা হ্রাস পাবে কিন্তু তা বেড়েই যাচ্ছে। ইতিপূর্বে আইসিইউতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও বর্তমানে আবারো বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়া ও চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার কথা উল্লেখ করে আল হোসনি বলেন, “সরকার লকডাউনের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে এটি চিরকাল চলতে পারে না। তাই আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে।”
আরো পড়ুনঃ যেসব শর্তে ওমান ফিরতে পারবেন আটকেপড়া প্রবাসীরা
তিনি আরও বলেন, “আমরা বর্তমানে মহামারীর সপ্তম মাসে রয়েছি এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা আমাদের মানব প্রকৃতির অংশ। তাই সারা বছরে আমাদের লকডাউন দেওয়াও সম্ভব না। তবে এই মহামারীর দূর করতে আমাদের সর্তক থাকা অনেক জরুরী।” করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের বিষয়ে আল হোসনি বলেন, যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই বয়স্ক ব্যক্তি। তবে, দু’দিন আগে ১৫ বছরের কম বয়সী একজন মারা গেছে ওমানে। যার ভিতরে করোনার লক্ষণ প্রথমে পাওয়া যায়নি। তিনি সবাইকে দেশটির সরকারের সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরো দেখুনঃ ৬ মাস পর পুনঃ ই-ভিসা চালু করলো ওমান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post