ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপুর গ্রামে ফেরদৌস স্বর্ণা (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া স্বর্ণার ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ইয়ামিনের স্ত্রী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া স্বর্ণার স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে স্বর্ণা ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ছিল। অনেক সময় পার হলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে শাশুড়ী হোসনে আরা বেগম তাকে ডাকতে যায়। ঘরের ভেতর থেকে স্বর্ণার দুই বছর বয়সি মেয়ে রুপার কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের উপর স্বর্ণাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় স্বর্ণার মেয়ে রুপা মায়ের পা ধরে চিৎকার করে কাঁদছিল।
ওসি বলেন, ‘ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বর্ণার ভাই মো. ইয়াসিন বলেন, ‘রাতে স্বর্ণা ফোন দিয়ে আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান বলে ফোন কেটে দেয়। সকালে গিয়ে তাকে দেখতে আসার আগেই মৃত্যুর খবর পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চার মাস আগে স্বর্ণার স্বামী কুয়েত থেকে বাড়ি ফিরেই দুই লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমাদের বাড়ি থেকে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও আমার বোনকে তারা নির্যাতন করত। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৮ আগস্ট সিনিয়ার জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলী আদালত ফেনীতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করা হয়। আমার বোনকে যৌতুকের দাবী করা টাকা না দেওয়ায় হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মরদেহের পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিল।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post