যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছে যে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে চার দেশের ১৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং তাদের সম্পদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জব্দ করা হবে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন— নিকারাগুয়ার ৪ জন, গুয়াতেমালার ৪, হন্ডুরাসের ৩ ও সালভাদোরের ৩ জন।
ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এসব ব্যক্তিকে ‘করাপ্ট অ্যান্ড আনডেমোক্রেটিক অ্যাক্টরস’-এর ৩৫৩ ধারার অধীনে নতুন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দান ট্রায়াঙ্গল এনহ্যান্সড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অযোগ্য হবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রশাসনের ‘রুট কজেস স্ট্র্যাটেজি’র অধীনে এই অঞ্চলে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। দুর্নীতি এবং অন্যান্য নীতিভ্রষ্ট চর্চা যা মধ্য আমেরিকার গণতন্ত্রকে খর্ব করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে এবং অনিয়মিত অভিবাসন সৃষ্টি করছে তার বিরুদ্ধে এসব পদক্ষেপ। অধিক স্থিতিস্থাপক, সমতাভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য গণতান্ত্রিক আদর্শকে উৎসাহিত করতে, সুরক্ষিত রাখতে এবং পুনর্বহাল করতে এল সালভাদোরে, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা এবং নিকারাগুয়ায় কাজ করছি আমরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং দুর্নীতিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে সরকারি সব নেতৃত্ব, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post