স্ত্রীকে শুধু ছুটির দিনে কাছে পান স্বামী; অন্য সময় বাপের বাড়িতে থাকেন। তাই স্বাভাবিক দাম্পত্য ফিরে পেতে, স্ত্রী যেন প্রতিদিন তার সঙ্গে থাকেন, সেজন্য হিন্দু বিবাহ আইনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্মজীবী স্ত্রীও। ঘটনাটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের।
ওই নারী বলছেন, চাকরির সূত্রে তাকে বাইরে থাকতে হয়। সেজন্য মাসে দুইবার ছুটির সময় তিনি স্বামীর বাড়িতে যান।
পারিবারিক আদালতে দায়ের করা মামলায় স্বামী অভিযোগ করেন, স্ত্রী তার সঙ্গে প্রতিদিন থাকেন না। তাদের ছেলের জন্মের পর থেকে চাকরির কারণে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। ওই ব্যক্তি জানান, মাসের দ্বিতীয় চতুর্থ ছুটির দিনেই শুধু তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী। মাসের বাকি সময়টা তিনি বাপের বাড়িতে কাটান।
ওই ব্যক্তি অভিযোগ তোলেন, স্বামীকে দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি সন্তানের স্বাস্থ্যগত সমস্যা উপেক্ষা করেও স্ত্রী চাকরি চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বামীর মামলার জবাবে পরিবারিক আদালতে একটি লিখিত জবাব দেন ওই নারী। তিনি লেখেন, প্রতি মাসে দুইবার ছুটির দিনে তিনি স্বামীর বাড়িতে গিয়ে থাকেন। কাজেই তার বিরুদ্ধে করা স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
তবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর আপত্তি খারিজ করে দেন পরিবারিক আদালত। সেইসঙ্গে আদালত বলেন যে ওই নারীর স্বামীর দাবিগুলো নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিচারকার্য পরিচালনা প্রয়োজন—প্রাক-বিচার পর্যায়ে এ সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। তার আইনজীবী যুক্তি দেন, হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে, কোনো নারী যদি স্বামীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ছিন্ন করেন, তাহলে তাকে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে নির্দেশ যেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এ ঘটনায় ওই স্ত্রী প্রতি মাসে দুইবার তার শ্বশুরবাড়িতে যান। সেজন্য স্বামী দাবি করতে পারেন না যে স্ত্রীর তার ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ভিডি নানাবতী প্রশ্ন করেন, ‘স্বামী যদি স্ত্রীকে বলেন যে আমার কাছে এসে থাকো, তাতে ভুলটা কোথায়? তার কি মামলা করার অধিকার নেই?’ ২৫ জানুয়ারি স্বামীর বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আদালত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post