সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুল আলম (৩৭) নামে এক চট্টগ্রাম প্রবাসী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রেস্টুরেন্টের খাবার পায়ে হেঁটে হোম ডেলিভারি দিতে বের হলে ফুজাইরার গোরফা বলদিয়া মার্কেটের পাশে জেব্রা ক্রসিংয়ে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
পরে ফুজাইরাহ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন চাকরি করার পর ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করার প্রত্যাশায় চাকরি ছাড়েন তিনি। তবে ব্যবসা করা আর হয়ে উঠল না রাউজানের আমিরাত প্রবাসী নুরুল আলমের। তিনি রাউজানের মধ্যম কদলপুর ইউনিয়নের মুহাম্মদ ইউনুস মিয়ার ছেলে। সাত ভাই-দুই বোনের মধ্যে নুরুল আলম ছিলেন পঞ্চম।
তার ভাই মোহাম্মদ আমিনুল জানান, আমরা সবাই ছিলাম যৌথ পরিবারে। সুন্দরভাবেই কাটছিল দেশে ও প্রবাসে। জীবনের এত বছর অতিক্রম করার পরও আমাদের ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল খুব মধুর। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের কাছ থেকে কলিজার টুকরো ভাইকে আলাদা করে দিলো।
তিনি জানান, নুরুল আলমকে আমার রেফারেন্সে একটি কোম্পানিতে ২০০৪ সালের মার্চ মাসে কর্মী ভিসায় আমিরাতে এনেছিলাম। নিজ ব্যবসা করার লক্ষ্যে দুই মাস আগে একটি কোম্পানি থেকে ক্যান্সেল করে ফুজাইরা প্রদেশের আমার রেস্টুরেন্টের ভিসার জন্য আবেদন করে। কথা ছিল সে ব্যবসায় পথ চলা শুরু করবে। ভিসার সব প্রসেসিং সম্পন্ন শেষে সোমবার ছিল তার মেডিকেল ফিটনেস চেক করার দিন। ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তার দেশে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা নুরুল আলমের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিলো।
নুরুল আলম ১০ বছর আগে সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। আমিরাতের সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। মরদেহ বর্তমানে ফুজাইরা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post