একসময় স্পেস লেজার শব্দটিকে অনেকেই ভবিষ্যৎপন্থী কৌতুক হিসেবেই দেখতেন। কিন্তু অ্যামাজনের প্রকল্প কুইপারের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির বাস্তবিক ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মহাকাশে অবস্থিত অ্যামাজনের স্যাটেলাইটগুলোর মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য স্পেস লেজার ব্যবহার করা হবে।
এর আগেও এ লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গেছে নাসাকে, যেখানে সাগরের প্ল্যাঙ্কটন নিয়ে গবেষণা চালানো ও মহাকাশ বর্জ্য বিস্ফোরণের মতো পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।
নিজস্ব স্যাটেলাইটে আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা বা ‘ওআইএসএল’ তৈরির লক্ষ্যে অক্টোবরে ‘প্রজেক্ট কুইপার’ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল অ্যামাজন। এ প্রকল্পে উচ্চক্ষমতার লেজার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যস্থির করেছে কোম্পানিটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ প্রযুক্তির সহায়তায় আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম জায়গাগুলোতেও ডেটা পাঠানো সম্ভব।
অক্টোবরে দুটি প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল অ্যামাজন। এর এক মাস পরই খবর আসে, তাদের এ পরীক্ষা সফল হয়েছে, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ডেটা আদান প্রদানের গতি গিয়ে পৌঁছেছিল ১০০ গিগাবিট পর্যন্ত।
“এ পরীক্ষায় আমরা দুটি স্যাটেলাইটের মধ্যে উভয় দিকেই ডেটা আদানপ্রদানে সক্ষম হয়েছি। আর এর প্রাথমিক তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, আমাদের এ নকশা একাধিক স্যাটেলাইটের মধ্যে সংযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে, যা বিবেচিত হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের ‘নেটওয়ার্ক কাঠামো’ হিসেবে।” –বলেছে অ্যামাজন।
এদিকে, প্রজেক্ট কুইপার ২০১৯ সালে শুরু করা হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এ প্রকল্পে বড় অগ্রগতি দেখা গেছে। আর বিভিন্ন সফল পরীক্ষা চালানোর পর অ্যামাজন বলছে, তারা এ প্রকল্পের জন্য স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যা মহাকাশ কক্ষপথে স্থাপনের জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ হবে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধেই।
কোম্পানির অনুমান বলছে, আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধেই গ্রাহকরা এর প্রাথমিক সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া, প্রকল্পের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ইলন মাস্কের রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স-এর সঙ্গেও চুক্তি করেছে অ্যামাজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post