দুই বছর আগে ২০২২ সালে, গুগল ও অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই ঘোষণা দেন যে কোম্পানিটি ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে। এই সিদ্ধান্তটি বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুখ খুলেছেন গুগল ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। পাশাপাশি সেই পদক্ষেপের প্রভাব নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
যদিও ওই সিদ্ধান্তের কারণে চাকরিচ্যুত কর্মীদের ভুগতে হয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে সুন্দর পিচাইয়ের যুক্তি হচ্ছে, ছাঁটাইয়ের পরিবর্তে অন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কোম্পানির মানিয়ে নেয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা বাধার মুখে পড়ত।
একটি অডিওর বরাতে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গুগলের এক বৈঠকে ১২ ডিসেম্বর নেয়া ৬ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তটির পক্ষেই যুক্তি দিয়েছেন সুন্দর পিচাই। তবে তিনি এ কথাও স্বীকার করেছেন যে কোম্পানি আরও ভালোভাবে ছাঁটাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে পারত।
বৈঠককালে সুন্দর পিচাইকে এক কর্মী প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন সিদ্ধান্তটি নেয়ার প্রায় এক বছর হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি আমাদের প্রবৃদ্ধি, পিঅ্যান্ডএল এবং মনোবলের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে?’
যার জবাবে গুগলের সিইও বলেন, ‘ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে আমাদের মনোবলের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া এটির প্রভাবের প্রতিফলন গুগলগাইস্ট-এর মন্তব্য এবং প্রতিক্রিয়ায় পরিলক্ষিত হয়েছে।’
তিনি বলেন,
যে কোনো কোম্পানির পক্ষেই এর মধ্য দিয়ে যাওয়া কঠিন। গুগলে, আমরা সত্যিই ২৫ বছরে এমন মুহূর্তের মুখে পড়িনি। তবে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে আমরা যদি এ পদক্ষেপটি না নিতাম, তাহলে দিনশেষে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যেত, যা কোম্পানির জন্য একটি বড় ঝুঁকিতে পরিণত হতো। এতে আমি মনে করি, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মুখে বিগত এক বছরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সক্ষমতা তৈরি কঠিন হয়ে উঠত।
গুগল ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তকে কঠিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এত কর্মীকে তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই করায় তাদের কাজের অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস বন্ধ করার সিদ্ধান্তটিও তার জন্য কঠিন ছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post