ভুয়া কিউআর কোডের ফাঁদে পড়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে স্প্যামাররা। সম্প্রতি ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) যেকোনও কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
কনজুমার অ্যালার্টের একটি ব্লগে তারা এই তথ্য জানায়। স্প্যমাররা এই কিউআর কোডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে নিয়ে যেতে পারে। এরপর বিভিন্ন মূল্য পরিশোধ, লগইন বা অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
নিউইয়র্ক টাইমসের সূত্রে ট্রেলিক্স নামে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের থ্রেট ইনটেলিজেন্সের প্রধান জন ফোক্কার জানায়, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠান এমন কিউআর কোড আক্রমণের ৬০ হাজার স্যাম্পল পেয়েছে। এমন ভুয়া কোডের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে এফটিসি’র পরামর্শ হলো, অনাকাঙ্ক্ষিত ই-মেইল এবং মেসেজ উপেক্ষা করতে।
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও স্থান থেকে এমন জরুরি কোনও অনুরোধ এলে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও স্ক্যানিংয়ের পরে পেমেন্টের অপশন এলে ইউআরএলটা ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে সেটা বিশ্বস্ত কি না। বিশেষ করে ব্যবহারকারী কোনও সাইটে প্রবেশ করতে চাইলে সরাসরি সেটা লিখে ভিজিট করলেই ভালো।
কমিশন আরও বলেছে ডিভাইস সবসময় আপডেট রাখা এবং সংবেদনশীল অ্যাকাউন্টগুলোতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখতে। এফটিসি’র পরামর্শ ছাড়াও আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে বলেছে সংবাদ মাধ্যম ভার্জ।
অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের বিল্টইন ক্যামেরা ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যান করুন। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ সেগুলো তথ্য চুরি করতে পারে। এমন অ্যাপ অনেক সময় তথ্য চুরি করার জন্যই বানানো হয় বলে মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post