করোনাকালীন অচলাবস্থা কাটিয়ে সৌদি আরব, ওমান এবং বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বাজার উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তে আশার পাশাপাশি নানা জটিলতায় সংশয়ও বাড়ছে। দেশগুলোর যেমন শর্তের কোনও কমতি নেই, তেমনি শ্রমিক পরিবহনে বিমান সংস্থার নেই পর্যাপ্ত ফ্লাইট। এ অবস্থায় শ্রমিক নেয়া শুরুর আগেই বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার আহ্বান শ্রমিক এবং ট্রাভেল এজেন্টদের।
বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত এবং কাতারে রয়েছে অধিকাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক। করোনা সংকট শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দেশগুলো শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে সে সংকট ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। এর মাঝে সীমিত আকারে শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি দেশ। চট্টগ্রাম শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি কার্যালয়ের উপ পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমান, সৌদি আরব এবং বাহরাইনে শ্রমিক নেয়া শুরু হয়েছে।
আরো পরুনঃ ওমানে স্বাভাবিক হচ্ছে ফ্লাইট চলাচল
প্রতি বছর চট্টগ্রাম থেকে ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শ্রম বাজারে যুক্ত হলেও চলতি বছর করোনার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এমনকি কাজ হারিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক চট্টগ্রামে ফিরে এসেছে। তবে নতুনভাবে শ্রম বাজার খুলতে যাওয়ায় তাদের মাঝে আশার আলো সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসীরা জানান, আমরা কম সময়ে যাতে কর্মস্থলে ফিরতে পারি সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
আরো পড়ুনঃ ওমানে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান
এক্ষেত্রে বর্তমানে শ্রম রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট সংকট। হাতেগোনা কয়েকটি বিমান সংস্থা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রী বহন করছে। কিন্তু সেখানেও রয়ে গেছে নানা সমস্যা। শ্রমিকরা চাহিদা অনুযায়ী বিমানের টিকেট পাচ্ছে না। এ অবস্থায় একটু আগে-ভাগে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন ট্রাভেল এজেন্সির মালিকেরা।
চট্টগ্রাম হাবের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রেড ও গ্রিন সিগন্যাল এগুলো দরকার নেই। তার ভিসার সিস্টেম যদি একটিভ থাকে তাকে যেতে দিতে হবে। শ্রমিক রপ্তানির অনুমতি দেয়া প্রতিটি দেশের রয়েছে কঠিন শর্তের বেড়াজাল। তাই শর্তগুলো সহজ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়। বিশ্বের ১৭৩টি দেশের সাথে শ্রমিক প্রেরণের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। একমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বৈধপথে শ্রমিক পাঠানো যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post