বুর্জ খলিফার সামনে ফ্ল্যাট কেনা যেমন স্বপ্নের মতো, তেমনি তা অর্জন করাও খুব একটা কঠিন নয়। দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট বাজার বিদেশিদের জন্য অত্যন্ত উন্মুক্ত। বাংলাদেশিরা সহ যেকোনো দেশের নাগরিক দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কিনতে পারেন। তবে, কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ পশ্চিম এশিয়ার শহরটিতে বাড়ি-ফ্ল্যাট কেনা এদেশের থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি সহজ।
শুধু তাই নয়, সেখানে সম্পত্তি কিনলে উপহার হিসেবে হাতে আসতে পারে ১০ বছরের গোল্ডেন ভিসাও। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেটে লগ্নির নিয়ম কানুন।
দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ
১৯৯৯-র ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বাসিন্দা না হয়েও কোনও ভারতীয় সেখানে সম্পত্তি কিনতে পারন। যদিও সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গে রিয়েল এস্টেট লগ্নিতে কিছু পার্থক্য রয়েছে। সমস্ত জায়গায় ভারতীয়দের বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনতে দেওয়া হয় না। দুবাইয়ের ফ্রিহোল্ড এলাকাতেই তাঁরা রিয়েল এস্টেট পেতে পারেন। নীচে সেখানকার কয়েকটি ফ্রিহোল্ড এলাকার নাম তুলে ধরলাম আমরা। এই এলাকাগুলিত ভারতীয়দের বাড়ি কেনার অধিকার রয়েছে।
- আরবীয় ব়্যাঞ্চ
- দামাক পাহাড়
- পাম জুমেইরাহ
- দুবাই হিলস এস্টেট
- আল ফুরজান
ফ্রিহোল্ড এলাকা
উল্লেখ্য, দুবাইতে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোগ্য। প্রতিবেদনে রইল সেখানকার তেমনই কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের নাম, যেখানে ফ্ল্যাট কেনার অধিকার রয়েছে ভারতীয়দের।
- ডাউনটাউন দুবাই
- জেভিসি
- দুবাই মেরিনা
- বিজনেস বে
- জেএলটি
প্রাক অনুমোদন
পশ্চিম এশিয়ার শহরটিতে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগাম অনুমতি নিতে হয়। পাসপোর্ট, শনাক্তকরণ কার্ড, আয়ের প্রমাণপত্র ও আর্থিক রেকর্ড-সহ আবেদন করতে সেই অনুমতি দিয়ে থাকে স্থানীয় প্রশাসন।
ভারত সরকারকে তথ্য প্রকাশ
প্রসঙ্গত, দুবাইতে সম্পত্তি কিনতে সেই তথ্য় ভারত সরকারকে দিতে হয়। এর জন্য দু’টি আইন রয়েছে ফরেন অ্যাসেট শিডিউল আইটিআর ও ব্ল্য়াক মানি অ্যাক্ট। তথ্য় গোপন করলে বিনিয়োগকারী বিপদে পড়তে পারেন। এমনকি তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারে প্রশাসন।
ঋণের সুব্যবস্থা
ভারতীয়দের রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুবাইয়ের স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলিতেই ঋণের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দামের ৮০ থেকে ৬০শতাংশ পর্যন্ত একজন ভারতীয় ঋণ পেতে পারেন। তবে কেউ ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সেখানে রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি কিনলে বেশি টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। সেখানে কেনা সম্পত্তি পুনরায় বিক্রি করার অধিকার রয়েছে ভারতীয়দের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post