তরুণী সাদিয়া আক্তার (১৮) প্রবাসী স্বামীর তালাকের হুমকিতে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মেলাঘর গ্রাম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাদিয়ার পরিবার জানায়, দীর্ঘসময় ধরে সাদিয়ার ঘরে তার মেয়ে কান্নাকাটি করছিল। এ সময় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সাদিয়ার মরদেহ ঝুলতে দেখেন। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদিয়া আক্তার মির্জানগর ইউনিয়নের মেলাঘর গ্রামের ছুট্টো মিয়ার মেয়ে। দুই বছর আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু মিয়ার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী তানিম চৌধুরী জনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জনি বর্তমানে সৌদি আরব আছেন। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে কলহ চলছিল। তাদের তাসফিয়া নামে ১০ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান আছে।
সাদিয়ার মা নাসিমা আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাদিয়ার স্বামী তানিম চৌধুরী জনি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে গালাগাল করে এবং তালাক দেবে বলে হুমকি দেয়। এতে স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে।
নাসিমার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তানিম শ্বশুর-শাশুড়ি কারো সঙ্গে কথা বলতো না। সৌদি যাওয়ার পর থেকে তার পরিবার সাদিয়ার ওপর নির্যাতন চালাতো। অপরদিকে সদিয়ার ভাশুর আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু মিয়া বলেন, ঘটনা যেহেতু সাদিয়ার বাবার বাড়িতে ঘটেছে, কী কারণে কেন ঘটেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
পরশুরাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর বকা শুনে অপমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post