ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ২২টি প্লেন সরিয়ে নেয়ার পর শুরু হবে এগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া। নিলামে বিক্রি না হলে কেজিদরে বিক্রি করা হতে পারে এগুলো। ক্রেতা না থাকলে ভেঙে ডাম্পিং করা হবে এসব প্লেনকে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সুত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশের একটি শীর্ষ অনলাইন গণমাধ্যম।
মূলত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো ধরনের চার্জ পরিশোধ না করেই দীর্ঘদিন রানওয়ের পাশে পড়ে থাকা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২২টি প্লেন বিমানবন্দরের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছিল। গত সপ্তাহে প্লেন সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ ওমানের মোট প্রবাসী সংখ্যা জেনে নিন
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগেই অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করা জিএমজি এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্স, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও বিমান বাংলাদেশের কয়েকটি প্লেন এখানে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। এদের কাছে পার্কিং চার্জ বাবদ পাওনা প্রায় আকাশচুম্বী। তবে টাকা পরিশোধ না করায় প্লেনগুলো সরিয়ে বিমানবন্দরের অন্যপ্রান্তে নেয়া হচ্ছে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘বারবার নোটিশ করার পরও প্রতিষ্ঠানগুলো প্লেন সরিয়ে না নেয়ায় আমরা উত্তর পাশে জেনারেল অ্যাভিয়েশনের খোলা জায়গায় এগুলো সরিয়ে রাখছি। প্লেনগুলো নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হবে শিগগিরই। নিলামে বিক্রি না হলে প্লেনগুলো ডিসপোজ করা হবে।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজ অ্যাপ্রোনে বর্তমানে থাকা প্লেনগুলো জিএমজি এয়ারলাইন্স, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্স, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স, স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের। এগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করার পর যদি নিলামে বিক্রি না হয়, তাহলে কেজিদরে বিক্রি করা হতে পারে এইসব বিমান।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু মাস্কাট ফ্লাইটের টিকেট যেভাবে পাবেন
আরো দেখুনঃ ওমানের পাহাড়ে আটকেপড়া বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post