ওমানে মহামারী করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পিছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ। গতকাল (২৫-আগস্ট) ওমানের এক জাতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দেশটিতে সামাজিক জমায়েত বন্ধ ও রাতে বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশনায় সবচেয়ে কার্যকারী পদক্ষেপ ছিলো দেশটির জন্য। ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, সামাজিক জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা, আন্তঃদেশীয় ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কারণ ওমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমেছে।
তিনি আরো বলেন, দুই সপ্তাহ দেশটির সকল নাগরিকের চলাচলে সীমাবদ্ধতা করোনাভাইরাস রোধে অনেক কার্যকর হয়েছে। দেশটিতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় কমেছে। এছাড়াও দেশটির স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেও নাগরিকদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছে। যা করোনাভাইরাস রোধে সাহায্য করেছে।
আরো পরুনঃ ওমানে স্বাভাবিক হচ্ছে ফ্লাইট চলাচল
ডাঃ আবদুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস রোধে কোনো একটি পদক্ষেপ কাজ করেছে এমন না। দেশটিতে নেওয়া সকল পদক্ষেপ করোনা রোধে অনেক সাহায্য করেছে। তাই আমরা কোন একটি পদক্ষেপকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে পারি না। সাধারণ জ্বর, সর্দি বা কাশির লক্ষণযুক্ত নাগরিকদের করোনা পরীক্ষা না করার বিষয়ে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, দেশটিতে অনেক নাগরিক করোনা পরীক্ষা করতে এসেছে যাদের সাধারণ জ্বর, সর্দি বা কাশি রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসকষ্ট-জনিত ব্যাধি বা অন্যান্য রোগে ভুগছেন। তাই এই রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা অনেকটাই অহেতুক। তাই দেশটির স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয় এই ধরনের রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ওমানের মোট প্রবাসী সংখ্যা জেনে নিন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post