কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ের রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তার স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিয়ের পরপরই রাতে পিয়া অসুস্থ বোধ করেন। এরপর পরমব্রত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তাকে হাসাপাতালে ভর্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীকে। গতকাল সোমবার দিনভর পরমব্রত-পিয়ার বিয়ের খবর নিয়ে শুরু হয় হইচই। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এমন কী ঘটল—তা নিয়ে জোর জল্পনা এখন টালিপাড়ায়।
পরমব্রতের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন পিয়া। কিডনিতে পাথর হয়েছে তার। অসুস্থতা নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন পিয়া।
জানা গেছে, বিয়ের পরদিন, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর পিয়ার অস্ত্রপচারের কথা। সেই জন্যই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটেছেন নববিবাহিত এ দম্পতি। বিয়ের অনুষ্ঠানেও কিডনিতে পাথরের যন্ত্রণা যথেষ্ট ভুগিয়েছে পিয়াকে। সে সময় পিয়াকে আগলে ছিলেন পরমব্রত।
২০২১ সালে দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি টানেন অনুপম রায় ও পিয়া চক্রবর্তী। সে সময় শোনা গিয়েছিল, তাদের বিয়ে ভাঙার নেপথ্যে পরমব্রত ও পিয়ার ‘বিশেষ’ বন্ধুত্ব। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ও পিয়া শুধুই বন্ধু। যদিও তাদের মাঝেমধ্যেই একসঙ্গে দেখা যেত।
আরও জানা যায়, সংগীতশিল্পী অনুপমের সঙ্গে পিয়ার বিচ্ছেদের এক বছর আগে থেকেই পরমব্রতকে মন দিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। এর আগে একবার খবর বের হয়, তারা মুম্বাই গিয়ে নাকি বিয়েও সেরে ফেলেছেন। চারদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরমব্রত হাসির ছলে সেসব কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, পিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনের আগে বিদেশিনি ইকার সঙ্গে দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। এরপরই অনুপম রায়ের সাবেক স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post