গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এতে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন ভুক্তভোগীরা। তৈরি হয় বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যক্তিগত সংকট।
যা খেয়াল করবেন
কোথাও ঘুরতে গিয়ে হোটেলরুমে বা নতুন কোনো বাড়িতে ঢুকেই খেয়াল করুন কোনো আসবাব বা ঘর সাজানোর সামগ্রী অস্বাভাবিক জায়গায় রাখা আছে কি না।
কোথায় থাকতে পারে ক্যামেরা
আসবাব কিংবা দরজার হাতল, অদ্ভুতভাবে লাগানো ছবির ফ্রেম, ল্যাম্পশেড, দেয়ালঘড়ি ইত্যাদির মধ্যে লুকোনো থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা। এটি যতই ছোট হোক তা লুকানো সহজ নয়। ক্যামেরার কাজ করার জন্য মূলত তিনটি জিনিসের প্রয়োজন।
দৃশ্যমানতা, বিদ্যুতের উৎস ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক। সে কারণে সুইচ বোর্ডের কাছাকাছি জায়গা, বাল্ব লাগানোর ফাঁকা জায়গা, টেলিভিশন—এসবই গোপন ক্যামেরা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্যামেরা লুকোনোর আরেকটি প্রচলিত জায়গা হলো টয়লেট। অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে রাখা শাওয়ারের মুখ, বিশেষ ধরনের আসবাব কিংবা আয়নার পেছনে থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা।
যেভাবে শনাক্ত করবেন
এর সন্ধান করতে প্রথমেই ঘরটির সব আলো বন্ধ করে মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালান। গোপন ক্যামেরায় প্রতিফলিত আলো দেখে শনাক্ত করে ফেলুন লুকানো ক্যামেরাটি কোথায় আছে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা অন করে যদি কোনো আলোর বিন্দু দেখেন তাহলে বুঝবেন সেখানেই রয়েছে ক্যামেরা।
ইদানীং অনেকে ব্লুটুথের মাধ্যমে গোপন ক্যামেরা চালায়। সে ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্লুটুথ অন করে কাছাকাছি কী কী ডিভাইস আছে, পরীক্ষা করুন। অনেক সময় আয়নার পেছনে লুকিয়ে রাখা হয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আছে। আয়নার ওপর চেপে ধরুন আপনার হাতের আঙুল। আঙুল ও আঙুলের প্রতিবিম্বের মধ্যে যদি ফাঁক থাকে তাহলে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখুন। সেখানে থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post