শ্বশুরবাড়িতে যৌতুক চেয়েছিলেন। কিন্তু যৌতুকতো দেওয়াই হয়নি, বরং উল্টো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই ঘটনা প্রতিশোধ নিতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে সাপের ছোবল খাইয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে এসেছে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিবাদের জেরেই স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ২৫ বছর বয়সী গণেশ পাত্রের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ভোর পৌনে ছয়টায় গণেশ চিৎকার করতে থাকেন তার স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে সাপে কামড়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়, কোবরার কামড়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে গণেশের শ্বশুর এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করেন। ঘটনাটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে গণেশ পরিকল্পিতভাবেই সাপের ছোবল খাইয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন গণেশ স্ত্রী ও মেয়েকে এক ঘরে রেখে নিজে অন্য ঘরে অবস্থান করেন। তারপর স্ত্রীর ঘরে বিষাক্ত কোবরা সাপ ছেড়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ভোরে তিনি চিৎকার করতে থাকেন, তার স্ত্রী ও মেয়েকে সাপে কামড়েছে।
শ্বশুরের অনুরোধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ গণেশের মোবাইলের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখেন। সেখানে দেখা যায়, ঘটনার ১০ দিন আগে সে তার বাবার নামে একটি নতুন সিম কেনে। সেই সিম থেকে সে এক সাপুড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, শিবপুজার জন্য তার সাপ লাগবে। ৬ অক্টোবর সাপুড়েরা একটি প্লাস্টিকের জারে করে তাকে একটি সাপ দিয়ে যায়। সে সাপটিই সে স্ত্রীর রুমে ছেড়ে দিয়ে তাকে ও তার সন্তানকে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, গণেশ যৌতুক চেয়ে তার স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাতো। বিষয়টি নিয়ে একবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয় তার স্ত্রী। বিষয়টি তার কাছে ভালো লাগেনি। তাই তার ওপর প্রতিশোধ নিতেই তিনি এ কাণ্ড ঘটান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post