জাপানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অক্টোবরে কিছুটা বেড়েছে। জাপানের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, অক্টোবরে দেশের খাদ্যপণ্যের মূল্য ২ দশমিক ৪% বেড়েছে। এটা জুলাইয়ের পর থেকে সর্বোচ্চ। জ্বালানি ও তামাকজাতীয় পণ্যের মূল্যও বেড়েছে।খবর রয়টার্স।
গতকাল প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে, খাদ্য বাদ দিয়ে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) অক্টোবরে বার্ষিক ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। যদিও রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল এটা ৩ দশমিক শূন্য শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। মূল মূল্যস্ফীতি আগস্টে ৩ দশমিক ১ থেকে সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। ২০২২ সালের আগস্টের পর প্রথম এটি ৩ শতাংশের নিচে নেমেছিল।
মূল্যস্ফীতির হার টানা ১৯ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার ওপর দিয়ে চলছে। বিওজের লক্ষ্য ছিল মূল্যস্ফীতি হবে ২ শতাংশ। এর পরও বিওজে জোর দিয়ে বলেছে, এমনটা মূলত বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের উচ্চগতি এবং দুর্বল ইয়েনের কারণে ঘটেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, এ মূল্যস্ফীতি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মজুরি বৃদ্ধির ফলে ঘটেছে এমনটা বলা যাবে না।
এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োশিমাসা মারুয়ামা বলেন, ‘আমি আশা করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেতিবাচক সুদহারের অবসান ঘটাবে। এপ্রিলের প্রথম দিকে ইল্ডের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি পরিহার করবে। ওই সময় শ্রমের মজুরি নিয়ে আলোচনা এবং কোম্পানিগুলোর ব্যয় সংকোচন নিয়ে ভাবা হচ্ছিল।’
খাদ্য ও জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে মূল্যস্ফীতির সংকুচিত মাপকাঠি বা কোর-ইনডেক্স অক্টোবর থেকে বার্ষিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এটা সেপ্টেম্বরের ৪ দশমিক ২ শতাংশের চেয়ে ধীর। এর অবস্থান টানা সাত মাস ধরে ৪ শতাংশের ওপরে।
বিশ্লেষকরা জানান, সুদহার নিয়ন্ত্রণ নীতিটি অপ্রচলিত। বিওজে ১০ বছরের সুদহার আরো বেশি নমনীয় করেছে। জাপানি সরকারের বন্ড এ সুদহারকে ১ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ প্রত্যাশার তুলনায় আরো প্রবল হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, বিওজে শিগগির নেতিবাচক সুদহার এবং এটা নিয়ন্ত্রণ বাদ দিতে পারে, যা ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের জন্য শূন্য শতাংশ ইল্ড সীমা নির্ধারণ করে।
তবে বিওজে কর্মকর্তারা এ ধরনের দাবি মানতে নারাজ। তারা জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খরচ বাড়ায় মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এটা সাময়িক। একটি স্থিতিশীল ও টেকসই অর্থনীতি তৈরির জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধি প্রয়োজন।
মূল্যস্ফীতির হার ক্রমাগত বাড়ছে। এতে কর্মচারীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বরের বিওজের নীতিনির্ধারণী সভায় এবিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সভায় মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post