নাগপুরের কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এবার গরমের কারণে কমলালেবুর ফলন হুমকির মুখে পড়েছে। ফলন কম হওয়ার কারণে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।সেগুলিতে সাইট্রাস ডাইব্যাক সহ নানা ধরনের মারণ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
সেই সঙ্গে বহু গাছে বয়স বেশি হওয়ায় ফলন ও স্বাদ দুই-ই কমেছে। গত কয়েক মরশুম থেকেই কমলার ফলন কমতে শুরু করেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে দার্জিলিংয়ের কমলার ঐতিহ্য তলানিতে। সেজন্য দার্জিলিংয়ের কমলাললেবুর পুরনো সুদিন ফিরিয়ে আনতে মিশন অরেঞ্জ কর্মসূচি নিতে চলেছে উদ্যান পালন বিভাগ।
নাগপুরের দুটি এলাকায় নারখোর আর কাটোল এলাকায় সবচেয়ে বেশি কমলালেবু এবং মুসম্বি উৎপাদন হয়। নাগপুরের কমলা গোটা দেশেই নয় বরং গোটা দুনিয়াতে প্রসিদ্ধ। নাগপুরের কমলার নির্যাস বিদেশ পর্যন্ত পৌঁছয়। যার কারণে কৃষকদের আমদানি খুব ভালোই হয়। নাগপুরের দুটি এলাকায় নারখোর আর কাটোল এলাকায় সবচেয়ে বেশি কমলালেবু এবং মুসম্বি উৎপাদন হয়। নাগপুরের নারখোর জেলায় ১০,৭১২ হেক্টর জমিতে কমলালেবু চাষ হয়। এই কমলাকে এবার দার্জিলিংয়ে এনে প্রতিস্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে পাহাড়ের কমলালেবু আবার পুরনো গরিমা ফিরে পেতে পারে।
মিশন অরেঞ্জ কর্মসূচি
আসলে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর বাগান ও গাছগুলি অনেক পুরনো। সেগুলিতে সাইট্রাস ডাইব্যাক সহ নানা ধরনের মারণ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বহু গাছে বয়স বেশি হওয়ায় ফলন ও স্বাদ দুই-ই কমেছে। গত কয়েক মরশুম থেকেই কমলার ফলন কমতে শুরু করেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে দার্জিলিংয়ের কমলার ঐতিহ্য তলানিতে। সেজন্য দার্জিলিংয়ের কমলাললেবুর পুরনো সুদিন ফিরিয়ে আনতে মিশন অরেঞ্জ কর্মসূচি নিতে চলেছে উদ্যান পালন বিভাগ।
এই বিভাগের ডিরেক্টরেট অফ সিঙ্কোনা অ্যান্ড আদার্স মেডিসিনাল প্ল্যান্টসের তরফে কাজ শুরু হয়েছে।
সিঙ্কোনা প্লান্টের নির্দেশক ডঃ স্যামুয়েল রাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি ধাপে কাজটি হচ্ছে। দার্জিলিংয়ের সুস্বাদু কমলার ফলন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
কলম পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে বিশেষ চারা
জানা গিয়েছে, সুস্থ চারার তৈরির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। সিকিম-কালিম্পং সীমানায় মনসং এর রংপুতে নেট হাউসে ৪ লক্ষ চারা তৈরি করা হচ্ছে। নাগপুর থেকে রংপুতে লাইন রাফ লেমন রুট স্টক নামে এক বিশেষ প্রজাতির ১ লক্ষ চারা নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলির সঙ্গে দার্জিলিং ম্যান্ডারিন প্রজাতির চারার গ্রাফটিং বা কলম করে ওই ৪ লক্ষ নয়া চারা তৈরি করা হচ্ছে।
গ্রাফটিং এর কাজটি শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর ফলে রোগমুক্ত চারা পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তারা জানাচ্ছেন। গ্রাফটিং এর জন্য নাগপুর থেকে চারা নিয়ে আসার পাশাপাশি ১ কুইন্ট্যাল বীজও আনা হয়েছে। সেগুলিকেও চারা তৈরির জন্য কাজে কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্রাফটিংকেই চারা তৈরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে ফলনও দ্রুত মিলবে।এর ফলে দার্জিলিংয়ে কমলালেবুর সুদিন ফিরবে বলে আশাবাদী উদ্যান পালন দফতর।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post