নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন মো. এসকেন আলী। তিনি লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে এবং ১ নম্বর লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) হিসেবে কর্মরত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে লালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
এসকেন আলী বলেন, “আমি ২০ বছর ধরে এলাকার মানুষের সেবা করে আসছি। এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করার জন্য আমি জাতীয় সংসদ সদস্য হতে চাই। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে এলাকার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করব। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি, শিল্প-কারখানাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করব।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এসকেন আলী বলেন, ২০ বছর আগ থেকে আমার খুব স্বপ্ন আমি এমপি ভোট করবে। কিন্তু টাকার জন্য সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। আমার নিজের এক কাটা জমি ছিল। সেই জমি বিক্রির টাকা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমি নির্বাচনে জিতব। দল-মতনির্বিশেষ সবাই আমাকে ভোট দেবে বলে আমি আশাবাদী। অনেকে নিজের দলের নেতাকে কেউ ভালোবাসা না, ভোট দেয় না।
তিনি বলেন, আমি আগেও দুবার মেম্বার পদে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে পোস্টার ছাপিয়ে ছিলাম। কিন্তু আর্থিক সংকটে ভোট করতে পারিনি। তাই স্বপ্নপূরণ করতে আড়াই লাখ টাকায় জমি বিক্রি করেছি। নির্বাচনে জিতলে গরিব-অসহায় মানুষের জন্য কাজ করব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী রফিকুল ইসলাম নান্টু জানান, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যদি বাদাম বিক্রি করতে পারেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি চা বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে গ্রাম পুলিশ এসকেন কেন সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে না? এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post