এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার রিজওয়ান সাঈদ জিকো জানান, টিকটক করার কারণে স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিবকে ৭২ ঘন্টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলায় গৃহবধূ রিনা আক্তার খুনের ৭২ ঘন্টার মধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত আসামী তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে আটক করেতে সক্ষম হয়েছে, পুলিশ। এ আগে তাকে সোমবার দুপুরে পুলিশ উপজেলার হোসেনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার(২১নভেম্বর) তাকে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার রাতে শাহরাস্তি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাঈদ জিকো এ তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি তার বক্তব্যে জানান, গত ১৭ নভেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সুরসই এলাকায় গৃহবধূ রিনা আক্তার খুন হওয়ার পর থেকে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঘটনার ৭২ ঘন্টা ও মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। রেজওয়ান সাঈদ আরও জানান, গত দুমাস পূর্বে আসামি হাবিব রিনা আক্তার কে বিবাহ করে। বিবাহের পর গত ১৭ অক্টোবর রিনা আক্তার তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে কোন কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এক মাস পর ১৭ নভেম্বর রিনা আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে হাবিব উত্তেজিত হয়ে ছুরিকাঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এরপর পাঁচ জনকে আসামি করে রিনা আক্তারের পিতা বিল্লাল হোসেন শাহরাস্তি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, হাবিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রিনা আক্তারের ব্যবহত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এদিকে এলাকাবাসী জানান, হাবিব মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে প্রবাসী ছিলেন। তার আগের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর তিনি কয়েকদিন কারাগারে ছিলেন।
এরপর তিনি গত দুই মাস আগে রিনা আক্তারকে বিবাহ করেন। বিবাহর পর তার সংসারে অশাস্তি বিরাজ করতে থাকে। এলাকার অনেকেই জানান, রিনা টিকটকের সাথে জড়িত ছিল। এর আগেও রিনার বিবাহ হয়। প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন,শাহরাস্তি থানা পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মোঃ খাইরুল আলম, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সংবাদ কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই কাজী বাড়িতে দাম্পত্য কলহের জেরে বেলা ৩ টায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী হাবিবুর রহমান পালিয়ে যান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post