কাজের খোঁজে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ৩২ জন বাংলাদেশি তরুণ। কিন্তু পৌঁছানোর পর থেকেই তাদের জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। কাজ না পেয়ে বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনাহার-অর্ধাহারের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা।
জানা যায়, গত ৬ আগস্ট রিক্রুটিং এজেন্সি ‘আরাফ ম্যানপাওয়ার লিমিটেডে’ সহ ৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যান এই তরুণরা। যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে সরকারের নির্ধারিত অর্থের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ। কথা ছিল যাওয়ার এক সপ্তাহ পরই কাজ মিলবে। তবে ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা কাজ পাননি। এখন ফোন করলে ধরছে না এজেন্সিগুলো। আটকে রাখা পাসপোর্ট চাইতে গেলেও তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।
তবে ঘটনার দায় মালয়েশিয়া দূতাবাসের উপর চাপাচ্ছে এজেন্সিগুলো। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টিও অস্বীকার করছেন তারা।
এ ব্যাপারে আরাফ ম্যানপাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তারুজ্জামান গোলাম কুদ্দুস বলেন, তাদের কাজ দিতে চাওয়া হলে তারা নিজেরাই কাজের ব্যবস্থা করেছে এমন কথা বলে পাসপোর্ট ফেরত চায় তারা। যারা কাজ করবে তাদের থাকতে বলা হয়েছে। আর যারা থাকবে না নিয়ম মেনে তাদের পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু শ্রমিক পাঠালেই হবে না। সেখানে গিয়ে প্রবাসীরা কাঙ্খিত কাজ পাচ্ছেন কি-না এটিও মনিটরিং করতে হবে। গত বছর মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খোলার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন সাড়ে ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত একটি অসাধু চক্রের অস্তিত্ব রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশিরাও জড়িত রয়েছে বলে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মনীর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এই চক্রটি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতারণা, হয়রানি এবং অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post